স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলনের সঠিক নিয়ম ও সহবাসের আনন্দ পাওয়ার উপায়
স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলনের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি এবং গোপনাঙ্গের দিকে তাকানোর হুকুম
স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলনের সময় আদর-সোহাগ সহকারে স্ত্রীকে কোলে নিয়ে চুম্বন করার পন্থা অনুযায়ী মুখমণ্ডল চুম্বন করলে এবং স্তন মর্দন করলে, তাতে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মিলিত হবার আকাংখা বৃদ্ধি পাবে। বলাবাহুল্য, স্বামী-স্ত্রী উভয়ের জননেন্দ্রিয় স্পর্শ করলে উভয়েরই আনন্দ অনুভব হয় সহবাসের সময় উভয়ে উভয়ের প্রতি দৃষ্টিপাত করবে । এতে উভয়ের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও স্ত্রী স্বামীর জননেন্দ্রিয় স্পর্শ না করা ও স্বামীর চেহারার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ না করা মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয় । উভয় উভয়ের দিকে সু দৃষ্টিতে তাকাবে এবং দর্শনীয় স্থানগুলো দেখবে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কোনরকম পর্দার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজনের বাহিরে পর্দা করা বিধান রয়েছে। মহান সৃষ্টিকর্তা তার স্বামীর জন্য তৈরি করেছেন স্ত্রীকে এবং স্ত্রী কে তৈরি করেছেন তার স্বামীর জন্য।
ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম এ ধরনের পত্রিকা আজ সুন্দর এবং শান্তি শৃঙ্খলা ভাবে করতে হয়। প্রতিটি কাজে বড় বড় ধরনের ফজিলত রয়েছে আমরা যাই কিছু করি না কেন প্রতিটি কাজের জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নির্দেশনা রয়েছে যদি আমরা সঠিকভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারি তাহলে আমরা ইহকাল এবং পরকাল উভয় জগতে শান্তিতে থাকতে পারবো। সুতরাং স্বামী-স্ত্রীর মিলনের পূর্বে অজু করে সূরা ইখলাস একবার, সূরা ফালাক একবার এবং সূরা নাস একবার পাঠ করে, মনে মনে বলবে, হে আল্লাহ! আমাদের এ মিলনে তুমি আমাদেরকে উত্তম সন্তান দান কর। এ বলে নিম্নলিখিত দোয়া পড়ে আলিঙ্গন করে মিলিত হবে।
بسم الله اللهم جنبنا الشيطان وجنب الشيطان ما رزقتنا .
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শাইতানা ওয়া জান্নিবিশ শাইতানা মা রাযাকতানা।
এক্ষেত্রে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জন করা যেমন সম্ভব তেমনি আনন্দ উপভোগ করা সম্ভব। প্রতিটি ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দার জন্য প্রত্যেকটি কাজ সহজ করে দিয়েছেন এবং প্রতিটি কাজের মধ্যে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন উত্তর প্রদান করেছেন যদি আমরা সঠিক নিয়মে সঠিক কাজগুলি করতে পারি তাহলে আমরা উক্ত কাজে ফল ভোগ করতে পারবো এবং সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ পালন করতে পারব এতে করে আমাদের ইহকাল ও পরকাল দুটোই কামিয়াবি হবে আমার লেখার মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয় তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
মেয়েরা কত সময় মিলন করতে পারে
মেয়েরা কত সময় মিলন করতে পারে এর সঠিক সময় আমাদের কারো জানা নেই কিন্তু বেশকিছু গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় যে, মহিলাদের ক্ষেত্রে ৩ থেকে ১৩ মিনিটই যথেষ্ট। কিন্তু পুরুসদের ক্ষেত্রে ধরাবাধা নিয়ম নাই। পুরুষদের ক্ষেত্রে যৌন মিলনের স্থায়িত্বটা তাদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে না। এটা সরাসরি নির্ভর করে শারীরিক সক্ষমতার উপর। এ বিষয়গুলোতে মেয়েরা বেশি ধৈর্যশীল হতে পারে পুরুষের তুলনায়। ধৈর্যশীল নারীর কারনে পাপাচার থেকে দূরে থাকা যায় । একজন নারী পারে একজন পুরুষকে যৌন পাপাচার থেকে দূরে রাখতে। সুতরাং প্রতিটি প্রতিটি মেয়েদের উচিত তার স্বামীকে খুশি করানোর এবং স্বামীর উচিত স্ত্রীকে উচ্চ মর্যাদা মর্যাদা দান করা।
মিলনের সময় নারীর করনীয়
মিলনের সময় নারীর করণীয় হচ্ছে যে বিষয়গুলো তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে স্বামী যদি মিলনের আগ্রহ প্রকাশ করে স্ত্রীকে মিলনের সাড়া দেয়া উচিত, কেননা পুরুষের মিলনের চাহিদা অনেক বেশি থাকে নারীরা মিলন না করে থাকতে পারে তাই আপনার উচিত স্বামীকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য স্বামী যখন মিলনের আবেদন করবে আপনার সাথে সাথে মিলনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে নেবেন।
দ্বিতীয়টি হচ্ছে আপনি যদি নিজে মিলনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন কিন্তু স্বামী যদি মিলন করতে আগ্রহী না থাকে, তাহলে আপনি স্বামীকে বিভিন্নভাবে আগ্রহ তৈরী করার চেষ্টা করবে ।
তৃতীয়তঃ সুন্দরভাবে সেজে গুজে স্বামীর কাছে এসে তাকে আকৃষ্ট করতে হবে। যাতে বুঝতে পারে আপনি ঐ কাজের জন্য প্রস্তুত।
চতুর্থঃ নিজেকে নানান ধরনের পোশাকে সাজিয়ে নিতে পারেন যে পোশাকগুলো পুরুষের মধ্যে কাম ভাব তৈরি করে। এজন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন ধরনের নাইট ড্রেস এবং ব্যবহার করতে পারেন সুগন্ধি এগুলো পুরুষের মধ্যে কামোত্তেজনা তৈরি করবে।
অধিক সময় সহবাসের দোয়া
অধিক সময় সহবাসের জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার বান্দার মনের বাসনা পরিপূর্ণ তৃপ্তির জন্য কিছু নিয়ম এবং এর সাথে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের শুকরিয়া যাপনের জন্য কিছু দোয়া তাঁর বান্দার জন্য উপস্থাপন করেছেন নিম্নের আলোচনায় এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
বীর্যস্খলিত হবার সময় উভয় পাটির দাঁত একত্রে চেপে রাখবে। স্বামী স্ত্রী উভয়েই
নিম্নলিখিত দোয়া পড়ে কতক সময় একত্রিত অবস্থায় থাকবে। তা হলে বীর্য সঠিক
স্থানে স্থির হতে পারে। তারপর উভয়ে পৃথক হবে। দোয়াটি হচ্ছে—
الحمد لله الذي جعل من الماء بشرا .
উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহিল্লাজী জাআলা মিনাল মায়ে বাশারা ।
মহান সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর সবকিছু সৃষ্টি করেছেন এবং সবকিছু নিয়ম প্রণয়ন করেছেন যদি আমরা যথাযথ ভাবে এই নিয়মগুলো পালন করতে পারি তাহলে আমরা প্রার্থীর জীবন এবং পরকালে শান্তি উপভোগ করতে পারব। প্রতিটি কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন দোয়া রয়েছে এই দোয়ার ফজিলত রয়েছে আমরা সঠিকভাবে পালন করব ইনশাআল্লাহ।
সহবাসের আনন্দ পাওয়ার উপায়
স্ত্রী সহবাসের বহু অনুমোদিত কায়দা-কানুন বিশিষ্ট পুস্তক রুচিসম্মত হলেও, স্বাভাবিক ও ধর্মানুমোদিত কায়দা-কানুনই সর্বতোভাবে তৃপ্তিদায়ক ও আনন্দদায়ক। প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞ লোকের নির্দেশ, যাকে আমরা ধর্মের বিধান বলি, সেরূপ স্ত্রী সঙ্গম স্বাস্থ্য ও ধর্ম রক্ষার পরিপন্থী নয়। এতে মনে শান্তি পাওয়া যায়। বলতে কি, প্রকৃতি যা চায় সে আনন্দোৎপাদনকারী স্থানসমূহ স্পর্শ ঘর্ষণ, মর্দন ইত্যাদি দ্বারাও বৈধভাবে নির্দোষ প্রক্রিয়া দ্বারা স্ত্রীর মনের আনন্দ উৎপাদন করা অত্যন্ত সহজসাধ্য।
স্ত্রীকে সাদরে কোলে জড়িয়ে ধরে স্ত্রীর পূর্ণ আনন্দ উৎপাদনের পরে মুখে মুখে, বুকে বুকে মিলিত হয়ে সহবাস করিলে তাতেই আনন্দ সম্ভোগ করতে পারা যায়।
স্বামী স্ত্রীর মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি
স্বামী স্ত্রীর মিলন করার মাধ্যমে যে সুখ ও শান্তির তার ভিতরে আল্লাহ তায়ালার একটি মহান উদ্দেশ্য আছে। মানব জাতির সৃষ্টিই তার প্রমাণ। অস্বাভাবিকভাবে মিলন হলে শুধু যে সন্তান অস্বাভাবিক হয় তাই নয়, বরং স্বাস্থ্যহানি হয়। সৃষ্টির আইন অমান্য করার দরুন পাপের প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করার জন্য পরকালে জাহান্নামে যেতে হবে।
সঙ্গম প্রণালীর বিপরীত ক্রিয়া করলে প্রথমতঃ
স্বামী অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে, পরে প্রমেহ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ডেকে আনে। ইতিপূর্বে বলা হয়েছে যে, স্বামী-স্ত্রীর মিলনের মধ্যে আল্লাহ তায়ালার একটি মহৎ উদ্দেশ্য আছে, তা সন্তান লাভ। সুসন্তানের কল্যাণে ইহকালে ও পরকালে তাদের পিতা-মাতা পরম সুখশান্তি পেয়ে থাকে। এরূপ কল্যাণকর সন্তানের জন্ম অত্যন্ত সুপন্থায় সাধিত হওয়া উচিত। মূর্খ পিতা-মাতা জানে না কিভাবে সুসন্তান উৎপাদন করতে হয় । তাই তারা আজীবন দুঃখদৈন্যে দিন কাটায়।
কু সন্তান জন্মের কারণঃ
স্বামী-স্ত্রীর মিলনের সময় আল্লাহর নাম স্মরণ না করলে এবং দোয়া কালাম না পড়লে শয়তান সহবাসের সঙ্গী হয়। ফলে জন্ম নেয়া সন্তান শয়তানের খাসিলত পায় | এবং পিতা-মাতার ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের অনিষ্ট করে। এটা বিশেষ উল্লেখযোগ্য যে, হযরত রাসূলুল্লাহ (স) তাঁর সাহাবীদেরকে স্বামী-স্ত্রীর মিলন সম্বন্ধে শিক্ষা দিয়ে গেছেন। 'বোখারী' 'তিরমিযি' ইত্যাদি বিশ্বাসযোগ্য হাদীস স্ত্রী সহবাসকালীন দোয়া পাঠ সম্বন্ধে বর্ণিত আছে। 'কাজীখান' ও 'সেরাজিয়া' কিতাবদ্বয়ে বর্ণিত আছে, রাত্রে হোক বা দিবাভাগে হোক, নির্জন স্থানে সহবাস করা সঙ্গত। খালি পেটে বা ভরা পেটে স্ত্রী সঙ্গম করা সঙ্গত নয়। আহারের দু'তিন ঘণ্টা পর স্ত্রী সহবাস করা অতি উত্তম। মানসিক চিন্তা ও শোকের সময় স্ত্রী সহবাস করা উচিত নয়। রোগব্যাধি ও অক্ষম অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করার প্রয়াস পাওয়া নিষ্ফল চেষ্টা মাত্র।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে জানা যায় যে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার বান্দার কাজগুলোকে সহজ করে দিয়েছেন এই সহজ কাজগুলোর মধ্যে যেমন আনন্দ রয়েছে তেমনি রয়েছে অনেক ফজিলত সুতরাং আমরা যথাযথ ভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করব।
পত্রিকা ৩৬০ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url