potrika360PostAd

স্ত্রীর বীর্যের স্থান নির্ণয় ও স্ত্রী সঙ্গম সম্বন্ধে কতিপয় পালনীয় বিষয়


স্ত্রীর বীর্যের স্থান নির্ণয়

যৌবন প্রাপ্ত হলে নর ও নারী উভয় জাতিই কামভাবের দরুন আস্থির হয়ে উঠে যে পর্যন্ত তাদের কামচরিতার্থ না হয় সে পর্যন্ত তারা স্থির থাকতে পারে না। কেবল চায় কোথায় তাদের উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে। মনুষ্যত্ব সীমা ও সমাজের নিয়ম রক্ষা করে চলতে হয় বলে স্বভাবতঃ সংযমী হয়ে চলে। কিন্তু যাদের লাজ-লজ্জা নেই, তারা ইজ্ সীমার বাইরে চলে যায় এবং অপকার করে।





          সূচিপত্র




বন্ধুত্বের আড়ালে

কেহ বন্ধুত্বের ভান করে বন্ধুর বাড়ী আসা-যাওয়া করে আত্মীয়তা করে এবং কেউবা প্রিয়ার অনুসন্ধানে বের হয়ে নিজের উদ্দেশ্য পূর্ণ করে। যে কোন উপায়ে কামপ্রবৃত্তি চরিতার্থ করা চাই, এরূপ আশা পোষণ করে। বৈধভাবে হউক আর অবৈধভাবে হউক, যুবক-যুবতীর জননেন্দ্রিয়ের ব্যবহার দ্বারা বীর্যস্থলনের পর উভয়েই শান্তি লাভ হয়। অন্ততঃ কিছু কালের জন্য স্থির থাকতে পারে। কিন্তু যদি উভয়ের মধ্যে একজনের বীর্যস্খলিত না হয়, তা হলে তার কাম উত্তেজনা নিবৃত্ত না হয়ে বরং আরও বহুগুণ বেড়ে যায়।


কুঅভ্যাস অবলম্বন

খুবই দুঃখের বিষয়, আধুনিক অপরিণত বয়সের বালক বালিকারা এমন কতগুলো কুঅভ্যাস অবলম্বন করছে যে, তা দ্বারা তারা দিন দিন দুশ্চরিত্র হয়ে উঠছে এবং স্বাস্থ্যের দিক দিয়েও অবনতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর প্রতিকার করা দূরে থাকুক, আরও মাল মসলা দেয়ার জন্য নানা জাতীয় জঘন্য খেলাধূলার সৃষ্টি করা হচ্ছে। আধুনিক ছায়াচিত্র চরিত্র গঠনের জন্য অন্তরায় না হলেও অপরিপক্ক বয়স্ক লোকের জন্য ক্ষতিকর। এ থেকে সুফল লাভ করা দূরে থাকুক, এটাই তাকে গ্রাস করে। স্বীয় অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সবাক ছায়াচিত্রের গুদামের অন্ধকারে একটি বালিকার উপর দশটি বালকের ধর্ষণের সংবাদ জানতে পেরে অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছিলাম। এ জাতীয় বালকগণ অন্যান্য কুৎসিত পন্থায় বীর্যের অপব্যবহার করে, যাতে তারা প্রায়ই দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। ভবিষ্যতে বিবাহিত জীবনে চাহিদামত রতিক্রিয়ায় অনাসক্ত হওয়ার দরুন এবং পূর্ণমাত্রায় রমণীর সাথে রমণক্রিয়ায় রত বা কৃতকার্য হতে না পারার কারণে স্বীয় চিরসঙ্গিনীর প্রেম বা শ্রদ্ধা-ভক্তির পাত্র হতে পারে না।




বীর্য কোথায় উৎপন্ন হয়

বিবাহিত পুরুষের শরীরে শৌর্য রক্ষা করার উদ্দেশ্যে যৌন বা নরদেহ বিষয়ক যে বিদ্যা আছে, তা আদ্যোপ্রান্ত পর্যালোচনা করা একান্ত আবশ্যক। তাতে শারীরিক বিন্যাস হতে আরম্ভ করে শরীর রক্ষার উপাদান ও এক থেকে অন্য শরীর উৎপন্ন হওয়ার রীতিনীতি দেখতে পাবে। উক্ত শারীর বিজ্ঞান থেকে জানতে পারবে যে, শরীরের ভেতর বীর্য কোথায় উৎপন্ন হয় এবং কোথা হতে কোথায় যায়। তা হলে এমন অমূল্য কষ্টলব্ধ বীর্যের অপব্যয় বা অনাদর হবে না। অপরপক্ষে বীর্যের গতিবিধি লক্ষ্য করতে পারলে ও সে বিষয়ে উপযুক্ত জ্ঞান থাকলে বিবাহিত পুরুষ স্বীয় তৎপরতার দ্বারা নারীর বীর্য যথা সময়ে স্খলিত করতে সক্ষম হয় এবং সেভাবে তার প্রীতিভাজন হতে পারে। প্রেমিক চায় প্রেমিকার পূর্ণ প্রেম প্রেমের প্রথম স্তর আন্তরিক ভালবাসা ও শারীরিক সাহচর্য দান। তাই যদি না হল, তাহলে সবই বৃথা ।


স্ত্রীলোকের বীর্যের স্থান


স্ত্রীলোকের বীর্য সব সময় এক স্থানে থাকে না। বিশেষজ্ঞগণ বলেছেন স্ত্রীলোকের বীর্য এক এক তিথিতে এক এক স্থানে অবস্থান করে।


সুতরাং তিথির যে যে তারিখে যে যে স্থানে স্ত্রীলোকের বীর্য থাকে, সে স্থানের পরিচয় জেনে সেসব স্থানে হস্ত দ্বারা মর্দন করলে কামভাবের উদ্রেক হয় এবং অতি সহজেই স্ত্রীলোকের বীর্য যোনীপথে দ্রুত চলে আসে। পরে জননেন্দ্রিয়ের অল্প আলোড়নেই এ বীর্যস্খলন হয়ে পড়ে। এজন্য পণ্ডিতগণ বলেছেন জ্ঞানই শক্তি (Knowledge is power)




তারিখভেদে স্ত্রীর বীর্যের স্থান


স্ত্রীলোকের বীর্য কোন্  তারিখে কোন স্থানে থাকে, তা নিরূপণ করার জন্য নিম্নে


একটি তালিকা প্রদত্ত হল


১ম তারিখে পায়ের আঙ্গুলিতে থাকে।


২য় তারিখে উভয় পায়ের তালুতে থাকে ।


৩য় তারিখে পায়ের শিরায় থাকে।


৪র্থ তারিখে উভয় উরুর নিম্নে থাকে।


৫ম তারিখে উভয় উরুর মধ্যস্থলে থাকে।


৬ষ্ঠ তারিখে কোমরে থাকে।


৭ম তারিখে যোনীর মধ্যে থাকে।


৮ম তারিখে নাভিতে থাকে।


১ম তারিখে স্তনদ্বয়ের মধ্যস্থলে থাকে। ১০ তারিখে গলকণ্ঠে থাকে।


১১ তারিখে মুখমণ্ডলে থাকে । ১২ তারিখে নিম্ন ওষ্ঠে থাকে।


১৩ তারিখে উভয় কানে থাকে। ১৪ তারিখে কপালে থাকে।


১৫ তারিখে মাথার তালুতে থাকে।


এরপর আবার স্ত্রীলোকের বীর্য নিম্নগামী হতে থাকে। এর তালিকা নিম্নে প্রদত্ত হল ১৬ তারিখে মস্তকের নিম্নস্তরে নেমে আসে।


১৭ তারিখে উভয় চোখে থাকে ।


১৮ তারিখে উভয় ওঠে থাকে।


১৯ তারিখে উভয় কানে নেমে আসে।


২০ তারিখে চিবুকে নেমে আসে।


২১ তারিখে গলায় নেমে আসে।


২২। তারিখে বক্ষ স্থলে নেমে আসে।


২৩ তারিখে মেরুদণ্ডে নেমে আসে।


২৪ তারিখে নিতম্বে নেমে আসে। ২৫ তারিখে উরুতে নেমে আসে।


২৬ তারিখে উভয় উরুর মধ্যস্থলে নেমে আসে। ২৭ তারিখে উভয় জানুতে নেমে আসে।


২৮ তারিখে উভয় পায়ের গোড়ালিতে নেমে আসে।


২৯ তারিখে যোনীতে নেমে আসে।


৩০ তারিখে পায়ের তালুতে নেমে আসে।




স্ত্রী সঙ্গম সম্বন্ধে কতিপয় পালনীয় বিষয়


স্ত্রী সঙ্গমকারে অতি সরল মনে নিম্নলিখিত নিময়াবলী পালন করবে- 

(১) সর্বাগ্রে স্ত্রী সঙ্গমের দোয়া পড়ে স্ত্রীকে আলিঙ্গন করবে। স্ত্রীর রাজী নিজের ভালবাসা জ্ঞাপন করে তাকে চুম্বন করে এবং উভয়ের মনে মিল হলে বিসমিল্লাহ বলে সঙ্গম ক্রিয়া আরম্ভ করবে।

 (২) স্ত্রী সঙ্গম করার সময় নিজ স্ত্রীর রূপ দর্শন শরীর স্পর্শ ও সঙ্গমের 

স্বামী-স্ত্রীর কর্তব্য বা মিলন তত্ত্ব সুফলের প্রতি মনোনিবেশ করা ছাড়া অন্য সুন্দরী স্ত্রীলোকের বা অর্ন সুন্দরী বালিকার রূপের কল্পনা করবে না তার সাথে মিলন সুখের কল্পনাও করবে না। 

(৩) ফলন্ত গাছের তলায় সঙ্গম করবে না।

 (৪) রবিবারে স্ত্রী সঙ্গম করবে না।

 (৫) স্ত্রার হায়েয ও নিফাসের সময় বা উভয়ের অসুখের সময় স্ত্রী সঙ্গম করবে না।

 (৬) চান্দ্র মাসের ১৫ তারিখের রাত্রে অর্থাৎ অমাবস্যার বা পূর্ণিমার রাত্রে স্ত্রী সঙ্গম করবে না।

 (৭) বুধবারের রাত্রে স্ত্রী সঙ্গম করবে না।

 (৮) বিদেশ ভ্রমণে যাবার পূর্ব রাত্রে স্ত্রী সঙ্গম করবে না।

 (৯) স্ত্রীর যোনির দিকে চেয়ে সঙ্গম করবে না। তাতে চোখের জ্যোতি নষ্ট হয়।

 (১০) উলঙ্গ হয়ে স্ত্রী সঙ্গম করবে না।

 (১১) সঙ্গমরত অবস্থায় স্ত্রীর সাথে কথা বলবে না।

 (১২) যোহরের নামাযের ওয়াক্তে স্ত্রী সঙ্গম করবে না।

 (১৩) চন্দ্র মাসের প্রথম তারিখে স্ত্রী সঙ্গম করবে না।

 (১৪) স্বপ্নদোষের পর গোসল পাক না হয়ে স্ত্রী সঙ্গম করবে না।

 (১৫) নাপাক শরীরে স্ত্রী সঙ্গম করবে না। 

(১৬) ভরা পেটে স্ত্রী সঙ্গম করবে না।

 (১৭) উল্টা সঙ্গম করবে না। 

(১৮) পূর্ব ও পশ্চিমমুখী হয়ে স্ত্রী সঙ্গম করবে না।

 (১৯) রমযান মাসে দিনের বেলা স্ত্রী সঙ্গম করবে না।


উপরোল্লিখিত নিষিদ্ধ স্ত্রী সঙ্গমের বিশেষ কারণসমূহ ইতিপূর্বে উল্লেখ করা


হয়েছে।



 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পত্রিকা ৩৬০ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
potrika360PostAd
potrika360PostAd
potrika360PostAd
potrika360PostAd