potrika360PostAd

সন্তান জন্মগ্রহণ নিয়ম, স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের সময় ভেদে সৎ-অসৎ সন্তান জন্ম লাভ করে।

 


আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক ভাই  ও বোনেরা  আজকে আমি আপনাদেরকে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তার শিরোনাম দেখেই বুঝতে পারছেন। সুতরাং আমরা জানি,ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ  জীবন ব্যবস্থা,ইসলামে মানব জীবনের সকল বিধি-বিধান রয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলনের ফলে  জন্ম নেওয়া সন্তান কেমন হবে, সৎ হবে, না  অসৎ হবে তা  আলোচনা করা হলো।কিভাবে সহবাস করতে হবে, কিভাবে সহবাস করলে সৎ-অসৎ সন্তান লাভ করে, কখন সহবাস করা   জায়েজ  আছে। কখন সহবাস করা নিষিদ্ধ আছে সকল বিষয় আলোচনা করা হলো





সূচিপত্র

  • সন্তান জন্মগ্রহণ নিয়ম, স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের,সময় ভেদে সৎ-অসৎ সন্তান জন্ম লাভ করে।
  • জন্মকথা
  • স্ত্রী সহবাসের উপযুক্ত সময়
  • সময়ভেদে সৎ-অসৎ সন্তান জন্মগ্রহণ
  • সহবাসের নিষিদ্ধ সময়
  • নিষিদ্ধ সঙ্গমের দোষ
  • সঙ্গমের বিধি-নিষেধ
  • বয়স অনুযায়ী স্ত্রী সহবাসের ফল


 জন্মকথা

উপযুক্ত স্বাস্থ্যের ও উপযুক্ত বয়সের স্বামী-স্ত্রীর সহবাসে স্বাস্থ্যবান সন্তান জন্ম নেয়। অপরিণত বয়সের স্বামী-স্ত্রীর সহবাসে অপরিণত সন্তান জন্মলাভ করে। স্বামী-স্ত্রীর চরিত্র ও শিক্ষা থাকলে সন্তানের চরিত্র এবং শিক্ষাও ভাল হয়। সুসময়ে ও সুনিয়মে সহবাসের ফলে যে সন্তান উৎপন্ন হয়, তারা সুসন্তান বলে পরিচিত হয়। বিশিষ্ট লোকের সন্তান বিশিষ্ট, সাধু লোকের সন্তান সাধু এবং নিকৃষ্ট লোকের সন্তান নিকৃষ্ট হতে দেখা যায়। সম্ভাবে ও সুনিয়মে সন্তান জন্ম দিলে সে সন্তান ভবিষ্যতে বংশের মান-মর্যাদা রক্ষা করতে সক্ষম হয় এবং পিতা-মাতা ও দেশ ও দশের মুখ উজ্জ্বল করে।




হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, একদিন হযরত রাসূল করীম (স) হযরত আবু হোরায়রা (রা)কে বলেছেন, হে আবু হোরায়রা! তোমার পক্ষে সোমবার রাত্রে স্ত্রী সহবাস উত্তম। কারণ এ রাত্রের স্ত্রী সহবাসে সন্তান জন্মিলে সে সন্তান কোরআনের হাফেয এবং আল্লাহ পাকের প্রিয়পাত্র হয়। মঙ্গলবার রাত্রের স্ত্রী সহবাসে সন্তান জন্মিলে সে সন্তান মোমেন ও আল্লাহ তায়ালার অত্যন্ত প্রিয়পাত্র হয়। বৃহস্পতিবার দ্বিপ্রহরের পূর্বে স্ত্রী সহবাসের সন্তান বিজ্ঞ আলেম হয় এবং শয়তানের প্রতারণায় পড়ে না। শুক্রবার দ্বিপ্রহরের পূর্বে স্ত্রী সহবাসে অতি উত্তম সন্তান জন্মগ্রহণ করে এবং সে

সন্তান দুনিয়ায় শহীদের দরজা লাভ করতে সক্ষম হয়।





 স্ত্রী সহবাসের উপযুক্ত সময়


স্ত্রী সহবাসের উত্তম সময় শেষ রাত্রি। যেহেতু শেষ রাত্রে ভুক্ত খাদ্য ভালরূপে হজম হবার পর শরীর যখন ঠিক হয়, তখন যদি মনের সরলতা ও পবিত্রতা রক্ষা করে একাগ্র মনে স্বামী-স্ত্রীর মিলন হয়, তা হলেই অধিকতর তৃপ্তি লাভ করতে পারে। সে রাত্রের সহবাসে স্বাস্থ্যবান সন্তানের জন্ম হয়। প্রমাণ পাওয়া যায় যে, শেষ রাত্রের সহবাসের সন্তান ধার্মিক, আওলিয়া-দরবেশ হয়েছেন।


সময়ভেদে সৎ-অসৎ সন্তান জন্মগ্রহণ


সুবিখ্যাত ইউনানী চিকিৎসক "আফলাতুন ও জালিনুছ" বলেছেন, স্ত্রীলোকের জরায়ুর মুখ হায়েয থেকে পবিত্র হবার দিন থেকে ১২ দিন পর্যন্ত খোলা থাকে। এ দিনসমূহের মধ্যে সহবাস করলে সন্তান জন্মে।


ঋতু বন্ধের দিন হতে ১২ দিনের মধ্যে কোন্ কোন্ দিন সহবাস করলে পুত্র বা কন্যা সন্তান হবে এবং তাদের চরিত্র কেমন হবে, সে বিষয়ে বিজ্ঞ চিকিৎসকগণ যে অভিমত পোষণ করেন তা এরূপ


প্রথম হায়েয থেকে গোসল করে পাক-পবিত্র হবার পরের দিন সহবাসে পুত্র হলে অল্পায়ু হয় এবং কন্যা হলে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। দ্বিতীয় দিনের সহবাসেও অনুরূপ ঘটে থাকে। কন্যা অপূর্ণঙ্গ হয়ে থাকে।



তৃতীয় দিনের সহবাসের ফলে কন্যা হলে অল্পায়ূ ও অপূর্ণাঙ্গ হয়ে থাকে । পুত্র হলে দীর্ঘায়ু ও পূর্ণাঙ্গ হয় ।


চতুর্থ দিনের সহবাসের সন্তান চরিত্রবান ও ধার্মিক হয়। পঞ্চম দিনের সহবাসের সন্তান নির্লজ্জ ও কুলটা হয় ।


ষষ্ঠ দিনের সহবাসের সন্তান দুর্ভাগা ও দরিদ্র হয়ে থাকে ।


সপ্তম দিনের সহবাসে যে কন্যা সন্তান হয়, সে কন্যা স্বামী কর্তৃক ত্যাজ্য হয় এবং ব্যভিচারে লিপ্ত হয় । অষ্টম দিনের সহবাসে যে পুত্র সন্তান জন্ম হয়, সে পুত্র শান্ত প্রকৃতিসম্পন্ন ও


ধার্মিক হয়ে থাকে । নবম দিনের সহবাসে সৌভাগ্যবতী কন্যার জন্ম হয়।


দশম দিনের সহবাসে সুশ্রী, গুণবতী ও ধার্মিকা কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করে। দ্বাদশ দিনের সহবাসে ধার্মিক, সত্যবাদী পুত্র সন্তান জন্ম হয় ।


সন্তান পিতা-মাতার আকৃতিবিশিষ্ট


হাকিমী শাস্ত্র মতে স্ত্রী অপেক্ষা পুরুষের বীর্য স্ত্রীর গর্ভে বেশী পরিমাণে প্রবেশ করলে পুত্র বা কন্যা পিতার আকৃতিবিশিষ্ট হয়ে থাকে এবং পুরুষ অপেক্ষা স্ত্রীর বীর্য গর্ভে বেশী পরিমাণে প্রবেশ করলে পত্র বা কন্যা মাতার আকৃতিবিশিষ্ট হয়ে থাকে । হাকিম আফলাতুন ও হাকিম জালিনুছ বলেছেন, স্ত্রী হায়েজ থেকে গোসল করে


পাক হবার পর সর্বপ্রথম স্বামীর মুখ দেখলে সন্তান স্বামীর আকৃতিবিশিষ্ট হয়ে থাকে;


আর যদি স্ত্রী তখন নিজ মুখ দেখেন তা হলে সন্তান মাতার আকৃতিবিশিষ্ট হয়ে


থাকে। কোন কোন বিজ্ঞ লোক এটাও বলেন যে, স্ত্রীলোক হায়েয থেকে গোসল করে


পাক হবার পর যে পুরুষের মুখ দেখে, সন্তান তার আকৃতি বিশিষ্ট হয়ে থাকে।





সহবাসের নিষিদ্ধ সময়


প্রথমেই জেনে রাখা উচিত, স্ত্রীলোকের হায়েয ও নিফাসের সময়ে সহবাস করা হারাম । তাছাড়া দিনে, ঠিক দ্বিপ্রহরে, রাত্রে ঠিক দ্বিপ্রহরে, বুধবার রাত্রে, রবিবার রাত্রে, অমাবস্যার রাত্রে, চাঁদের প্রথম তারিখ ও পনর তারিখের রাত্রে, কোরবানী ঈদের রাত্র, সূর্যের উত্তাপে, ছাদ বা চালশূন্য ঘরে, চন্দ্র-সূর্য গ্রহণের সময়ে এবং প্রবাস গমনের পূর্ব রাত্রে স্ত্রী সহবাস নিষিদ্ধ ।


তিরমিযী শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত রাসূল (সা) বলেছেন, বুধবার রাত্রের সহবাসের সন্তান পিতামাতাকে কষ্ট দিয়ে থাকে। চাঁদের প্রথম ও পনর তারিখের সহবাসের সন্তান পাগল ও অত্যাচারী হয়। কোরবানী ঈদের রাত্রের সহবাসের সন্তান বাইশ আঙ্গুলবিশিষ্ট হয়। সূর্যের উত্তাপের মধ্যে সহবাসের সন্তান অগ্নিপূজক হয় এবং বিদেশ গমনের পূর্ব রাত্রে সহবাসের সন্তান অপব্যয়ী ও পিতামাতার অবাধ্য হয়ে থাকে।




নিষিদ্ধ সঙ্গমের দোষ


জ্ঞানী ও হাকিমগণ নিষিদ্ধ সঙ্গমের ফল সম্বন্ধে নিম্নোক্তরূপ বলেছেন

(১) রোগাক্রান্ত ব্যক্তি সঙ্গম করলে রোগ আরও বৃদ্ধি পায় এবং শারীরিক ক্ষতি

হয় ।

(২) চিন্তা, ক্রোধ, কষ্ট ও ভীত অবস্থায় স্ত্রী সঙ্গম করলে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় এবং সে কারণে পাগল হতে পারে।

(৩) জ্বরের অবস্থায় বা অত্যন্ত গরমের মধ্যে সঙ্গম করলে হঠাৎ পাগল হয়ে

যেতে পারে।

(৪) অত্যন্ত ঠাণ্ডার ভিতর সঙ্গম করলে নিউমোনিয়া হতে পারে।

(৫) বৃদ্ধা ও বেশ্যার সাথে সঙ্গম করলে আয়ু ক্ষয় হয়।

(৬) নিকৃষ্ট স্ত্রীলোকের সাথে সঙ্গম করলে কুসন্তান লাভ হয়। (৭) বৃদ্ধ বয়সে স্ত্রী সঙ্গম করলে নিজেকে মৃত্যুর দিকে টেনে আনা ।

(৮) হায়িযের অবস্থায় সঙ্গম করলে স্বামী স্ত্রী উভয়েই প্রমেহ রোগে আক্রান্ত

হয় ।

(৯) অত্যধিক পিপাসার পর পানি পান করে স্ত্রী সঙ্গম করলে অনিষ্টের আশঙ্কা

থাকে।

(১০) অন্ধকারাচ্ছন্ন, ক্ষুদ্র ও নোংরা জায়গায় সঙ্গম করলে চিরতরে স্বাস্থ্য নষ্ট হয়।

(১১) ভরা পেটে সঙ্গম করলে নানারকম মারাত্মক রোগ হয়ে থাকে।

(১২) অত্যন্ত ক্ষুধার সময় স্ত্রী সঙ্গম করলে জননেন্দ্রিয় শিথিল হয়ে যায়।

(১৩) অত্যন্ত পিপাসার সময় স্ত্রী সঙ্গম করলে থাইসিস রোগ হতে পারে।





সঙ্গমের বিধি-নিষেধ


স্ত্রী সঙ্গমের বিধি-নিষেধের প্রতি দৃষ্টি রাখা পুরুষের একান্ত কর্তব্য। এতে ভুল করলে জীবন ধ্বংসের পথে চলে যায়। এ বিষয়ের প্রতি হুঁশিয়ার হবার জন্য নিম্নে কিছু নিয়ম লিপিবদ্ধ করা গেল।





(১) গর্ভাবস্থায় চার মাস গত হয়ে যাবার পর স্ত্রী-সঙ্গম সন্তানের এবং স্বামী-স্ত্রীর উভয়েরই ক্ষতি করে। তখন হতে স্বামী-স্ত্রীর সংযমী হওয়া উচিত।

(২) রোযার মধ্যে দিনে সঙ্গম করলে গুনাহগার হয়। রাত্রে নিষেধ না থাকলেও সঙ্গম করলে স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যধিক ক্ষতি হয়। অতএব, রোযার একমাস সঙ্গম বন্ধ রাখাই ভাল ।

(৩) হায়েয-নেফাসের সময়ে সঙ্গম করলে স্বামী-স্ত্রীর উভয়েই গুনাহগার হবে এবং বিশেষ করে স্বামীর স্বাস্থ্যহানি হবে।


(৪) পুরুষ অবৈধভাবে অবৈধ স্ত্রীর সঙ্গে বা নিজ স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সঙ্গম করলে শুধু গুনাহগার হবে তাই নয় বরং ভয়ঙ্কর ক্ষতি সাধন হতে পারে। (৫) পূর্বেই বলা হয়েছে যে, বৃদ্ধার সাথে যুবকের মিলন ও বৃদ্ধের সাথে যুবতীর


মিলন অত্যন্ত অপকারী, এটা ইসলামের রীতি বিরুদ্ধ। উক্তরূপ বিবাহ ক্রিয়া যাতে না


হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখা সকল বিবেকবান ব্যক্তিরই উচিত।


বয়স অনুযায়ী স্ত্রী সহবাসের ফল


স্ত্রী লোকের বয়স অনুযায়ী বিভিন্ন নাম হয়ে থাকে। যথা-তরুণী, যুবতী, বুড়ী ও পাকা বুড়ী ।

১৬ বছরের স্ত্রীলোককে তরুণী বলে।

১৬ থেকে ৩৩ বছরের স্ত্রীলোককে যুবতী বলে।

৩৩ থেকে ৫০ বছরের স্ত্রীলোককে বুড়ী বলে । ৫০ থেকে অনুর্ধ্ব বয়সের স্ত্রীলোককে পাকা বুড়ী বলে ।

তরুণী স্ত্রীলোককে দর্শন করলে ও তরুণীর সাথে সঙ্গম করলে বৃদ্ধ স্বামীও তরুণ হয়ে উঠে। মিলন মাধুর্যের মধ্য দিয়ে স্বামী তরুণী থেকে অমিয় সুখের স্বাদ গ্রহণ করে, তা ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না। স্বামী আন্তরিক শান্তি ও শারীরিক সুখ লাভ করে তরুণের মত বল সঞ্চয় করে।

যুবতী সহজ পাত্রী নয়, তার সম-স্বাস্থ্যসম্পন্ন স্বামী না হলে তার স্বাদ মিটাতে পারে না। অতএব যুবতী স্ত্রীর জন্য যুবক স্বামী হওয়াই বাঞ্ছনীয় অন্যথায় তার কাছে হার মানতেই হবে। তবে মাঝে মাঝে সংযম করলে আর হারবার আশংকা নাই । সংযমী হয়ে যুবতীর সাথে সঙ্গম করলে বৃদ্ধও যুবক হয়ে দাঁড়ায় ।

বুড়ীর সাথে সহবাস করলে তার স্বামী যুবক হউক আর বৃদ্ধ হউক, অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়বে ।




পাকা বুড়ীর বুড়ীর সাথে সঙ্গম করা কারো উচিত নয়। তার স্বামী তরুণ হলেও বৃদ্ধ হয়ে যায়। এর কাণ হচ্ছে এ যে, না বুড়ী আনন্দ পায়, না বুড়ীর স্বামী আনন্দ পায়।

যুবক হউক আর বৃদ্ধ হোক, স্বামী-স্ত্রী উভয়েই সমান হওয়া আবশ্যক। একজন বালিকা অন্যজন বৃদ্ধ হলে বা একজন সুস্থ ও অন্যজন রোগা হলে সে সংসার সুখের হয় না। তবে ঘটনাক্রমে যদি এরূপ হয়ে পরে, তাহলে নিম্নলিখিত নিয়ম অবলম্বন করবে- (১) তরুণীর সাথে বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, ভাদ্র ও আশ্বিনে।

 (২) যুবতীর সাথে আষাঢ়, শ্রাবণ ও চৈত্র মাসে সহবাস করলে ভাল । তবে একান্ত আকাঙ্খা হলে দু এক মাস পর পর সহবাস করা যায়। তাতে স্বাস্থ্যের বিশেষ ক্ষতি হবে না ।

পরিশেষে বলা যায় যে, রোগা কুৎসিত ও নোংরা স্বামী হউক বা স্ত্রী হউক, যার সাথে যার সহবাস করতে ভক্তি না হয়, তার সাথে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত সত্ত্বে সহবাস করলে ফল ভাল হয় না।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পত্রিকা ৩৬০ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
potrika360PostAd
potrika360PostAd
potrika360PostAd
potrika360PostAd