potrika360PostAd

অত্যাধিক সঙ্গমের দোষ ও উল্টা সঙ্গমের দোষ

 

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক ভাই  ও বোনেরা  আজকে আমি আপনাদেরকে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তার শিরোনাম দেখেই বুঝতে পারছেন। সুতরাং আমরা জানি,ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ  জীবন ব্যবস্থা,ইসলামে মানব জীবনের সকল বিধি-বিধান রয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলনের ফলে  জন্ম নেওয়া সন্তান কেমন হবে, সৎ হবে, না  অসৎ হবে তা  আলোচনা করা হলো।কিভাবে সহবাস করতে হবে, কিভাবে সহবাস করলে সৎ-অসৎ সন্তান লাভ করে, কখন সহবাস করা   জায়েজ  আছে। অত্যাধিক সঙ্গমের দোষ ও উল্টা সঙ্গমের দোষ এ সকল বিষয় আলোচনা করা হলো





 সূচিপত্র




অত্যাধিক সঙ্গমের দোষ

অত্যাধিক সঙ্গমের ফলে যোনীদ্বার ক্ষতবিক্ষত ও জরায়ু দুর্বল হয়ে যায়। সুতরাং জরায়ুতে পুরুষের বীর্য স্থির থাকতে পারে না। এর ফলে সন্তান উৎপাদন সুদূরপরাহত হয়ে উঠে। তা ছাড়া যোনীর শিরাগুলো ঢিলা হয়ে পড়ে। সেজন্য স্বামী-স্ত্রী উভয়েই সঙ্গমের সুখ অনুভব করতে পারে না, বরং স্ত্রীর কাছে যন্ত্রণাবিশেষ হয়ে উঠে।  এমতবস্থায় স্ত্রীর কঠিন রোগ হয়ে পড়ে, শরীর কঙ্কালসার হয়, চেহারা বিশ্রী হয়ে যায় এবং অনিয়মিত হায়েয ও পরিপাক শক্তি হ্রাস পায়। এভাবে স্ত্রীর জীবন বিপজ্জনক হয়ে উঠে।

  



অত্যাধিক সঙ্গমের ফলে পুরুষের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং সে সাথে মানসিক অবস্থারও অবনতি ঘটতে থাকে, পরে তা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কলহ-বিবাদ সহ নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হয়।অত্যাধিক সঙ্গমের ফলে  শুক্র কারনে পুরুষত্বহানির আশঙ্কা হয়ে পড়ে। ক্রমে ক্রমে ধাতুদুর্বলতা, শুক্রতারণা, জননেন্দ্রিয়ের শিথিলতা, মাংসপেশীর অবসন্নতা, প্রমেহ, মাখা ঘুরানো ইত্যাদি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। অত্যাধিক সঙ্গমের ফলে ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে প্রিয়তমার সাথে মিলনস্পৃহা থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত হয়ে অকালে মৃত্যুমুখে পতিত হয় ।




উল্টা সঙ্গমের দোষ


অশিক্ষিতদের মাঝে স্ত্রী-সঙ্গমের নিয়ম-কানুন সম্বন্ধে অতি অল্প লোকেই জানে। অশিক্ষিতদের মধ্যে এটা শুধু যুগ পরম্পরা চলে এসেছে। এমন নির্লজ্জ অথচ অর্ধ শিক্ষিত লোক আছে, যারা পশুকে গুরু মেনে পশুর ন্যায় উল্টা সঙ্গম করতে লজ্জা বা অসুবিধাবোধ করে না। আজকাল এক প্রকার জীবের সৃষ্টি হয়েছে, তারা শিক্ষিত হয়ে বিদেশী ও বিজাতীয়দের রুচির অনুসরণ করে দণ্ডায়মান অবস্থায় রতিক্রিয়া সম্পন্ন করে । তাদেরকে নাকি এদেশের শিক্ষিত যুবক-যুবতী বলা হয় ।


উল্টা সঙ্গমের সন্তান জন্ম 


জ্ঞানীগণ বলেন, কিছুদিন ক্রমান্বয়ে দণ্ডায়মান হয়ে স্ত্রী সঙ্গম করলে পুরুষের সর্বাঙ্গ অকর্মণ্য হয়ে পড়ে। দুনিয়ায় যা অস্বাভাবিক, পাশ্চাত্যের কাছে তাই স্বাভাবিক। তাকেই এদেশের যুবক-যুবতীরা অনুসরণ করে। এতে স্বামী-স্ত্রী উভয়ই ভগ্নস্বাস্থ্য না হয়ে পারে না। এ প্রকার সঙ্গমহেতু সন্তান জন্ম নিলে সে সন্তান হয় নির্লজ্জ, লম্পট, অর্থাৎ পরস্ত্রী হরণকারী হবে। বহুদিন যাবত দণ্ডায়মান হয়ে সঙ্গম করলে কোন একটা কঠিন ব্যাধিতে সে আক্রান্ত হবেই। স্বামী চিৎ হয়ে স্ত্রীকে বুকে উপর নিয়ে স্ত্রী সঙ্গম করলে সন্তান লম্পট হবে, এবং স্বামী হঠাৎ কোন কঠিন রোগে আক্রান্ত হবেই। স্বামী-স্ত্রী বসে কুঁজোভাবে সঙ্গম করলে সন্তান কুঁজো হবে এবং তার শরীর বাতরোগে আক্রান্ত হবে। বসে সঙ্গম করা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। ডান কিংবা বাম পার্শ্বে যে কোন পার্শ্বে কাৎ হয়ে সঙ্গম করলে এর ফলে কানা, খোড়া, লুলা, ন্যাংড়া সন্তানের জন্ম হয়।


মোটকথা, স্ত্রীকে চিৎ করে শোয়ায়ে স্ত্রীর উরুর মাঝে স্বামী হাঁটু পেতে খুশীমত বৈধভাবে সঙ্গম করলে তাকে স্বাভাবিক সঙ্গম বলে। এতে কোন ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না। উত্তর ও দক্ষিণমুখী হয়ে সঙ্গম করতে হয়। পূর্ব বা পশ্চিমমুখী হয়ে কখনো সঙ্গম করবে না।




সংযম


যৌবন যুবকের একটি বড় সম্পদ। এটাকে যুবকের জীবনের জোয়ারও বলা হয়। এ যৌবন জোয়ার ঊর্ধ্বগতি হয়ে যুবককে শারীরিক সুখ সম্ভোগের চরম সীমায় পৌঁছিয়ে দেয়। যে যুবক হাল ধরে ঠিক থাকতে পারলে সে অত্যন্ত সফলভাবে সাগর পার হতে পারে। অন্যথায় যৌবন জোয়ারের ঢেউয়ের মধ্যে পড়ে হাবুডুবু খেয়ে প্রাণ বিসর্জন দেয়।

 যুবকের সংযমী হওয়া উচিত। আপাতমধুর সুখ-সন্ত্রাসের জন্য জীবনকে বিপন্ন করে। কুসংসর্গে মেলামেশা করে ক্রমান্বয়ে হ্যার করে যুবক ধ্বংসের পথে অগ্রসর হয়। তার স্বীয় বিবেক বৃদ্ধি ছাড়া তার পথে তার কে বাধা দিবো


ফলে যুবক কোন এক সময়ে বুদ্ধি বিকৃতির দান তার শারীরিক ও মানসিক বৃত্তির অপচয় ঘটায়। অতি  সঙ্গম দ্বারা তার শরীরের ক্ষতি সাধন করে। মস্তিষ্কের পরিচালনা শক্তিও কমে যায়, ক্রমান্বয়ে ধাতদুর্বলতায় আক্রান্ত হয়। পূর্বেই বলা হয়েছে যে, এসব যুবকের শেষ পরিণতি মৃত্যু। প্রকৃতপক্ষে বলতে গেছে যুবাকের চেহারার বিকৃতি, শারীরিকও ইন্দ্রিয় শিথিলতা, কর্মে অনীহা, অল্প পরিশ্রমে করা স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া, পাকস্থলীর ক্রিয়া হ্রাসপ্রাপ্ত হওয়া ও মানসিক শক্তির জোগ ইত্যাদি মুখ্য দোষ অসংযমের ফলে দেখা যায়। এসব কারণে যুবক অকালে বৃদ্ধ হয়, চুল পাকে এবং দাঁত পড়ে যায়। একটি আবশ্যকীয় কথা বলতে ভুল হয়ে গিয়েছে, অতিমাত্রায় স্ত্রী সহবাসের ফলে বীর্যের সন্তান উৎপাদন শক্তি চিরতরে লোপ পায়। পুরুস্কার করতে পারে এমন কোন ঔষধ পৃথিবীতে সৃষ্টি হয় নাই।

 হাদীসে বর্ণিত তথ্য  

এ কথা কারো অবিদিত নেই এবং এটা হাদীসেও বর্ণিত যে, "পুরুষ অপেক্ষ নারীর এশকের জোর নয়গুণ বেশী।” স্বাভাবিকভাবেই নারী তাই ধৈর্যশীলা। নারী প্রশংসা পাবার উপযুক্ত। অথচ পুরুষের অধৈর্যের সীমা নারীর আঠার গুণ বেশী বললেও অত্যুক্তি হয় না। তারপরও পুরুষ বেহায়াপনাতে শ্রেষ্ঠ এবং নারী সোফারে অত্যন্ত লজ্জাশীলা।


পরিশেষে বলা যায়, অত্যধিক স্ত্রী সহবাসে পুরুষের যত প্রকার ক্ষতি হয়, কম ক্ষতি হয় না। স্ত্রীর ডিম্বকোষে জ্বালা-পোড়া হয় এবং বীর্য সঠিক স্থানে ছিল। থাকতে না পারার কারণে সন্তানও জন্ম দিতে পারে না। দীর্ঘদিন সহবাসের ফলে নারীর বীর্য নিঃশেষ হয়ে যাওয়ায় বীর্যের পরিবর্তে শরীরের অন্য এক প্রকার বের হয়ে যায়, যা স্বাস্থ্য রক্ষা করে। স্বাস্থ্যের অবনতি ঘাটে নারী মৃত্যু মুখে পতিত হয়, এতে কোন সন্দেহ নেই।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পত্রিকা ৩৬০ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
potrika360PostAd
potrika360PostAd
potrika360PostAd
potrika360PostAd