potrika360PostAd

আস্তাগফিরুল্লাহ ,গুনাহ মাপের শ্রেষ্ঠ দোয়া

                                           বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,

 

 মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন, আশরাফুল মাখলুকাত এর শ্রেষ্ঠত্ব  দিয়ে।পৃথিবীর মোহে পড়ে মানবজাতি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গুনাহ করে,মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, গাফুরুর রাহিম নামের উসিলায় তাঁর বান্দাদেরকে গুনাহ মাপ করে দেন,  ক্ষমা প্রার্থনার জন্য কিছু নিয়ম দিয়েছেন, যেগুলো পালন করার মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারি। আর তাহলো হল আস্তাগফিরুল্লাহ ,গুনাহ মাপের শ্রেষ্ঠ দোয়া।. মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা  করতে পারি। আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠের মাধ্যমে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন গুনাহ মাপ করে দেন। 



 সূচিপত্র 

আস্তাগফিরুল্লাহ অর্থ কি

আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া আরবী বাংলা

আস্তাগফিরুল্লাহ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ  আরবি এবং বাংলা

 ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া

 আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জন

 আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠের নিয়ম

 ইমাম ইবনে হাম্বলের বাস্তব ঘটনা


কোন এক বর্ণনায় পাওয়া যায়,  ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল সাববিন  খাব্বাস যুবকটি  রুটি বানাচ্ছে,  সেখানে গিয়ে আহমদ ইবনে হাম্বল সালাম  দিলেন, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। বাবা এই শীতের রাতে আমার প্রচন্ড ঠান্ডা লেগেছে। আমি এই ঠান্ডা নিবারন করার মত কোন উপায় পাইনি,  আমি তোমার রুটির চুলার পাশে বসে ঠান্ডা নিবারণ করব। সকাল হলে আমি চলে যাব ।

এতে করে তোমার কোন অসুবিধা হবে নাতো !  লোকটি বলল আমার   কোন অসুবিধা নেই। বরং আমি আপনার সাথে সময় কাটাতে পারব। এবার ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  হাদিস পাঠ করতে শুরু করেন। লোকটি রুটি তৈরি করছেন আর গুন গুন করে আস্তাকফিরুলা পাঠ করতে থাকেন ।


রুটির খামির করেন আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করেন। রুটিন নাড়া দেয় রাস্তাঘাট করেন। চোলাই   চুলায় আগুন জ্বালান তখনো  আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করেন। ইমাম হাম্বল লোকটির জিজ্ঞাসা করলেন  তুমি গুনগুন করে কী  পাঠ করছো। লোকটি বলল ইস্তেগফার  পাঠ করছি ইমাম হাম্বল লোকটিকে বলল তুমি কি সব সময় আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করো। লোকটি বলল আমি সবসময় আস্তাগফিরুলা পাঠ করতে থাকি। এটা আমার একটা আমল  আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে থাকার কারণে মহান আল্লাহতায়ালা আমাকে মুস্তাজাবুদ দাওয়া বানিয়েছেন । আমি দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়ে যায় । এ জীবনে যতো দোয়া করেছি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কবুল করেছেন। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল  বললেন, তুমি কি মুস্তাজাবুদ দাওয়া? লোকটি বলল হ্যাঁ, আমি  মুস্তাজাবুদ দাওয়া। আমি দোয়া  করেছি তাই কবুল হয়েছে । তুমি জীবনে যা চেয়েছো তাই কি পেয়েছো?লোকটি বলল হ্যাঁ তাই পেয়েছি,


 আমার সকল দোয়া কবুল হয়েছে, শুধুমাত্র একটি দোয়া ছাড়া! ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল বললেন, কিসে দোয়া ,এবার জানার আগ্রহ আরো বেড়ে গেল , লোকটি বলল শুনেছি এ জামানার সবচাইতে বড় মুহাদ্দিস ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল। তার সাথে সাক্ষাৎ লাভ করব । তার সাথে সালাম মোসাফা করব,  আমার ইচ্ছা যদি কখনো তার সাথে সাক্ষাৎ হয়।তা হলে তার কপালে একটা চুমু দেওয়ার ইচ্ছা,এবং বুকে জড়িয়ে কোলাকুলি করার ইচ্ছা। তাহলে আমার  জীবনের সকল ইচ্ছা পরিপূর্ণ হতো। এইবার ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না,চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে তিনি বললেন , হে যুবক ইমাম  আহমদ ইবনে হাম্বল এর সাথে দেখা করার জন্য তোমাকে আর কষ্ট করতে হবে না



তোমাকে আর খোঁজাখুঁজি করতে হবে না। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, তোমার এই দোয়াটিও  কবুল করেছেন।  এজন্যই ইমাম ইবনে হাম্বল তোমার দরজায় এসে দাঁড়িয়েছে। তুমি যাকে এতদিন ধরে খুজতেছো, যার সাথে দেখা করার এত ইচ্ছা পোষন করেছো, আজকে সেই ব্যক্তিটি তোমার পাশে বসে আছে।লোকটি   ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল কে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়ে, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে  দুহাত তুলে প্রার্থনা করে বললেন, হে আমার রব, হে আমার পালনকর্তা , হে আমার প্রভু তুমি আজকে আমার সকল আশা পূর্ণ করেছ। তোমার কাছে আমার আর কোন কিছু চাওয়া পাওয়ার  রইল না।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন  একটি দোয়া করার মাধ্যমে সকল মনের আশা পূর্ণ করে দিয়েছেন আমরা যদি  ছোট আমল পালন করতে পারি  মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের জীবনের সকল গুনাহ খাতা মাফ করে দিতে পারেন আমিন।





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পত্রিকা ৩৬০ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
potrika360PostAd
potrika360PostAd
potrika360PostAd
potrika360PostAd