বেহেশতী নারী হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর পরিচয় / hazrat fatima jibon kahini
بسم الله الـرحـمـن الـرحـيـم
বেহেশতী নারী হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর পরিচয়
নারীকূলের মধ্যমনি, বিশ্ব মুসলিম জাতির মাতৃতুল্য হযরত ফাতেমা (রাঃ) ছিলেন দু'জাহানের বাদশাহ্ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর চার কন্যার মধ্য হতে সর্ব কনিষ্ট আর যোগ্যতা ও মর্যাদার দিক হতে সর্বোধের। রাসূলের সমস্ত সন্তানদের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বাদিক প্রিয়। স্বয়ং দু'জাহানের বাদশাহ্ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) থেকে নিজ কলিজার টুকরা এবং বিশ্বের সকল রমণীকুলের সরদার বলে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
সূচিপত্র
- বেহেশতী নারী হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর পরিচয়
- হযরত ফাতেমা (রাঃ) কষ্ট পাওয়া প্রসঙ্গে
- হযরত ফাতেমার (রাঃ) মর্যাদা
- হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর মাতা
হযরত ফাতেমা (রাঃ) কষ্ট পাওয়া প্রসঙ্গে
হুজুর (সাঃ) বলেন, যে কথা বা কাজে ফাতেমা কষ্টপায় তাতে আমি কষ্ট পাই, দু'জাহানের বাদশাহ্ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) একদিন সাহাবীদের কে বলেন- যে ব্যক্তি আমার ফাতেমাকে কষ্ট দিল সে যেন স্বয়ং আমাকেই কষ্ট দিল। হযরত ফাতেমা(রাঃ) নবী করিম (সঃ)-এর প্রাণ প্রিয় কন্যা। নিজ অন্তিম কাল ঘনিয়ে আসার সংবাদ সবার অগোচরে যাকে দিয়ে ছিলেন, তিনিই হলেন হযরত ফাতেমা (রাঃ)। এ সংবাদ শুনে তাঁকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখে দু'জাহানের বাদশাহ্ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছিলেন- মা, তুমি দুঃখ করো না। কারণ অচিরেই জান্নাতে সর্বাগ্রে আমার সাথে তুমিই মিলিত হবে। আর সেখানে সকল নারীদের নেতৃরূপে অনাদীকাল ধরে বিরাজ করবে তুমি।
একথা শুনতেই আসন্ন পিতৃবিয়োগের ব্যথা অন্তর হতে দূরীভূত হয়ে গেল হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর, এক অপূর্ব তৃপ্তির হাসিতে উদ্ভাসিত হয়ে উঠল তার পবিত্র মুখমন্ডল ।
হুজুর (সাঃ) একদা নিরিবিলিতে ডেকে হযরত ফাতেমা (রাঃ) কে কি যেন বলেছিলেন; উন্মুল মোমেনীনদের শত জিজ্ঞাসা সত্ত্বেও সে কথা
কাকেও তিনি ব্যক্ত করেননি। হুজুর (সাঃ)-এর ইন্তেকালের পর যখন একথা গোপন রাখার প্রয়োজন মনে করলেন না, তখন তিনি হযরত আয়েশা সিদ্দিকার (রাঃ) কাছে ব্যক্ত করেছিলেন, যে কথা হুজুর (সাঃ) হযরত ফাতেমা (রাঃ) কে গোপনে বলেছিলেন।
হযরত ফাতেমার (রাঃ) মর্যাদা
হযরত ফাতেমা (রাঃ) ছিলেন একান্ত ধর্মপ্রাণ, ধৈর্য্যশীল, সহিষ্ণু ও সামান্যতে তৃপ্ত থাকা স্বভাবের অধিকারিনী। আর এসব গুণই তাঁকে বিশ্বনবীর (সাঃ) প্রাণাধিক প্রিয় করে তুলে ছিলো। হযরত ফাতেমা (রাঃ) কে হুজুর (সাঃ) যেমনি ভালবাসতেন ঠিক তেমনি ভাবেই ভালোবাসতেন হযরত ফাতেমা (রাঃ) পিতা রাসূল (সঃ) কে। হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর গুণগান করতে গিয়ে হযরত আয়শা সিদ্দিকা (রাঃ) বলেন দু'জাহানের বাদশাহ্ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ব্যতীত ফাতেমার চাইতে উত্তম কোন মানুষ আমি দেখিনি।
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) আরো বলেন আমি যদি ফাতেমার মাথার একটা চুল হয়ে জন্মিতাম সেও আমার জন্য অনেক উত্তম হত। স্বয়ং রাসূল(সাঃ) প্রায়ই বলতেন, ফাতেমা আমার দেহের অংশ বিশেষ । যাতে ফাতেমার কষ্ট হয় তাতে আমারও কষ্ট হয়, যাতে ফাতেমা খুশি হয় আমিও তাতে খুশি থাকি। তবেই বুঝে নিন, যে হযরত ফাতেমা (রাঃ) স্বয়ং বিশ্বনবীর দেহের অংশ। তার মর্যাদাও যোগ্যতার অধিক বিশ্লেষণের আর অবকাশ কোথায়।
তাছাড়া দু জাহানের বাদশাহ্ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাকে জান্নাতের রমণীকুলের সর্দার বলে আখ্যায়িত করেছেন, ব্যক্ত করেছে নারীকুল শ্রেষ্ঠা বলে। এক কথায় আমরা বলতে পারি যে, তিনি ছিলেন ইহকাল ও পরকালের সর্বোত্তম ও সর্বগুণে গুণান্বিত মহিয়সী নারী ।
হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর মাতা
হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর মাতা হলেন হযরত খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ)। তিনি হলেন আরবের এক মর্যাদাবান ও ধনী ব্যক্তি খোওয়াইলিদের কন্যা। নিজ রূপ, গুণ, ঐশ্বর্য আর ব্যক্তিত্বের কারণে তিনি ছিলেন সারা আরব নগরের যুব সমাজের কল্পনার দূর্বল নায়িকা স্বরূপ। কুসুম নির্মল চরিত্রের জন্য তাঁকে সব সময়ই ডাকত “তাহেরা বা পবিত্রা” বলে। তাঁর অসাধারণ যোগ্যতার জন্য আরবের সম্ভ্রান্ত শ্রেণীর সকল যুবকগণই ছিল তার পানি প্রার্থী। এ কথা খোওয়াইলিদের কন্যা হযরত খাদিজা (রাঃ)-এর অজানা ছিল না। তবুও তিনি নীরব, জবাব হীন। কারণ তিনি এক অভূত পূর্ব ও অসাধারণ ব্যক্তিত্বের মাঝে নিজেকে ডুবিয়ে রেখে ছিলেন ।
সর্বদা একই চিন্তা মগ্ন ছিলেন হযরত খাদিজা (রাঃ)। হোক নিঃস্ব, এতীম হোক পিতা মাতা হীন, একবারেই পরিচয় হীন তো নয় আর । যার বংশ মর্যাদার গুনগাণ সারা আরব জাহানে, তাছাড়া মাত্র পচিশ বছর বয়সেই যে যুবক সত্যবাদী হিসেবে খ্যাত সর্বত্র। আমানতদারি আর নম্র বিনয়ী বলে সারা মক্কা নগরে যার খ্যাতি বিস্তৃত। তার গুণ গরীমায় আকৃষ্ট হয়েছে হযরত খাদিজা (রাঃ)-এর মত বিদুষী রমণী। শুধু খাদিজাই নয় বর; মরু মধ্যাহ্নের প্রচন্ড দাহ কালের জড় প্রকৃতি পর্যন্ত যার মাথার উপর মেলে ধরে স্নেহ শীতল মেঘের ছায়া। সে যুবক আর যেই হোন না কেন, একেবারে সাধারণ মানুষ নন। যিনি হলেন সর্বকালের সব যুগের মহামানব। তাই হযরত খাদিজা মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। জীবনের চল্লিশটি বছর অতিক্রম করে যদি আজ আত্মসমর্পণ করতেই হয় তাকে, তবে এ যুবক মুহাম্মদের (সাঃ) চরণ তলেই নিজেকে শপে দিবেন ।
যুবক মুহাম্মাদ (সাঃ) আজ তার ব্যাবসা পরিচালনার কাজে নিয়োজিত। নিজ বিষয় সম্পতির রক্ষণাবেক্ষণ আর ব্যাবসা পরিচালনার ভার তার উপর অর্পণ করে মোহাম্মাদের (সাঃ) সততা কর্মনিষ্ঠা আর শিষ্টাচারিতার প্রমাণ নিজেই তো ইতি মধ্যে পেয়ে গেছেন। হযরত খাদিজা (রাঃ)-এর এসব কথা ভাবতেই মনে পড়ে যায়—তাঁর মক্কাবাসী জীবনে এক
জান্নাতী দশ মহিলা
চরম দুর্দিনের কথা। হযরত খাদিজা (রাঃ)-এর বয়স তখন মাত্র পনের বছরের মত হবে। ইয়ামনের বাদশাহ্ আররাহা কাবা ঘরকে ধ্বংস করতে মক্কায় একদল সৈন্য পাঠালেন। দুর্ধর্ষ আবরাহা বাহিনীর এ অতর্কিত আক্রমণ রোধের চেষ্টায় বিফল হয়ে আত্মগোপন করল মক্কার অধিবাসীগণ । এমনি বিপদাপন্ন মূহূর্তে নিজ প্রাণের মায়াকে ভুলে একাগ্রচিত্তে আল্লাহর সাহায্য লাভের প্রার্থণায় বসলেন কাবার সেবায়েত বৃন্দ আর কোরেশ দলপতি আব্দুল মুত্তালেব।
হঠাৎ একি দৃশ্য। সারা আকাশ আচ্ছন্ন করে কারাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এল এক ঝাঁক আবাবিল নামক পাখি। যা ছিল আল্লাহর পাঠানো সৈন্য। আকাশ পথের এ অভাবিত আক্রমণে পর্যুদস্ত হয়ে পালিয়ে প্রাণ বাঁচাল ইয়ামনের সৈন্যদল। কাবার মালিক কাবাকে রক্ষা করলেন। হাফ ছেড়ে বাঁচল মক্কার অধিবাসীগণ। সারা মক্কায় চলল আনন্দোৎসব। এ আনন্দে সর্বাধিক মেতে উঠলেন সর্দার আব্দুল মুত্তালেব। আজকার এ আনন্দকে যুগ যুগের জন্য স্থায়ী করে রাখতে চান তিনি। কিন্তু তা সম্ভব হবে কেমন করে?
ভাবতে লাগলেন কুরাইশ দলপতি আব্দুল মুতালিব। হঠাৎ এক আত্মতৃপ্তির হাসি ফুটে উঠল তার সারা চেহারা জুড়ে। পথ পেয়ে গেছেন তিনি । মনে পড়ে যায় তার নিজ প্রভুর সাথে কৃত একটি প্রতিশ্রুতির কথা । আজ হতে পঁয়ত্রিশ কি চল্লিশ বছর আগে এক গভীর রাত। নিজ সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর পাশে বসে আছেন ধর্মপ্রাণ যুবক আব্দুল মুত্তালেব। হঠাৎ কিযেন মনে হলো তাঁর। নিজ প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনা জানিয়ে দশটি পুত্র সন্তান কামনা করলেন তিনি। যারা দীর্ঘায়ু, সুস্থ ও সবল হবে। সময়ে তাদের একজনকে কাবার আঙ্গিনায় বলি দিয়ে নিজ প্রার্থণা মঞ্জুরীর জন্য প্রভুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাবেন তিনি।
আজকের মতই সেদিন ও প্রভু তাঁর প্রার্থনা কবুল করলেন। কাবার সেবায়েত আব্দুল মোত্তালেবকে দান করলেন দশটি পুত্র সন্তান। যারা বুদ্ধিমত্তা, বল বিক্রম আর শৌন্দর্যে সারা মক্কায় ছিল অতুলনীয়। অতএব, কাবার আঙ্গিনায় পুত্র বলি দিয়ে নিজ সততা রক্ষার উপযুক্ত সময় আজই ।
লোক মুখে মারা মঞ্চায় আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র বলির এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ল। এ নিজের চোখে দেখতে কাবার আঙ্গিনায় এসে ভিড় জমাল সারা মক্কার বিভিন্ন কারিনার লোকেরা। সত্যনিষ্ঠায় অদ্বিতীয় আব্দুল মুত্তালিব, একথা সবাই জানে। কিন্তু নিজ উপযুক্ত পুত্রকে সামান্য প্রতিশ্রুতি রক্ষার জাগিদে বলিদান। কি করে সম্ভব। তবু দেখা যাক এ চরম মুহূর্তে কি করেন কুরাইশ দলপতি?
সারা আরবের পরম শ্রদ্ধাভাজন পুরুষ আব্দুল মুত্তালেব। চারিদিকে দর্শকের ভিড়। মাঝখানে হাসি মুখে বসে আছেন কুরাইশ দলপতি। পাশেই বিষণ্ণ মুখে দাড়িয়ে আছে তাঁর দশ পুত্র আর পুত্র বধুরা। সবার অন্তরে আসন্ন মৃত্যুর ভয়ে আচ্ছন্ন। একবার তিনি ছেলেদের মুখের দিকে তাকালেন পিতা আব্দুল মুত্তালেব। সাথে সাথেই তার চোখ নামিয়ে নিলেন নীচের দিকে কাকে বলি দিবেন তিনি। এ দ্বন্দের অবসান ঘটাতে তিনি বেছে নিলেন একটি পথ। সব জটিল মুহূর্তে নিশ্চিত সিদ্ধান্ত পৌঁছার আরবী পদ্ধতি। দশ টুকরা কাগজে দশ ছেলের নাম লিখে ভাজ করে সামনে ছড়িয়ে দিয়ে কোরা চাললেন তিনি। অদৃষ্ট এবার যার নাম তার হাতে আসে, তাকেই তিনি প্রভুর নামে বলি দান করবেন। এটাই হবে সবচেয়ে সুন্দর পথ চোখ বন্ধ করলেন বৃদ্ধ আব্দুল মুত্তালিব ।
পৃথিবীতে হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর পদার্পণ চারজন স্বর্গীয় রমণী জানতে ভিজিট করুন
সারা চেহারা জুড়ে তার ভেসে আছে এক স্বৰ্গীয় আলোক ছটা। হাত বাড়িয়ে এক টুকরা কাগজ তুলে নিলেন তিনি । চোখ মেলে কাগজের দিকে তাকাতেই তার চেহারা যেন ম্লান হয়ে গেল। দ্বিধা আর দ্বন্দ্বে টলে উঠল তাঁর প্রভুর প্রেমের আচ্ছাদিত অন্তর। মনের দ্বন্দ্বে দোদুল্যমান মোত্তালেব আবার কোরা চাললেন। আবারও সেই একই নাম। একে একে তিনবার সে একই নাম আব্দুল্লাহ। তাঁর সব কনিষ্ঠ পুত্র। কি করবেন এবার আব্দুল মুত্তালেব। এদিকে প্রাণ প্রতিম আব্দুল্লাহ। অন্য দিকে বিশ্ব প্রভু কাবার খোদার ইচ্ছা। নিজ মনকে শক্ত করে নিলেন মুত্তালের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় প্রাণের মায়া ও যে নগন্য তার কাছে। মাথা নত করে জানার আঙ্গিনায় এসে বসলেন আব্দুল্লাহ। সাথে সাথে বলির খড়গ হাতে নিয়ে প্রস্তুত হলেন নারী স্বামূল মোত্তালেন।
জান্নাতী দশ মহিলা
চারিদিক হতে ছুটে এসে মোত্তালেবের হাত ধরে ফেলে দর্শকবৃন্দ না এ হতে পারে না সর্দার জি। সত্য রক্ষায় উতরে গেছেন আপনি। প্রয়োজন নেই পুত্র বলির। মনে করে দেখুন আমার পূর্ব পুরুষ হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর পুত্র বলির কথা। প্রভু তাঁর সিদ্ধান্তের দৃঢ়তার জন্যই পুত্রের স্থলে পশু বলি দিয়ে তৃপ্ত হয়েছিলেন সে দিন ।
আজ পুত্র বলির এ চরম মূহুর্তে ও তার সত্য নিষ্ঠার এরূপে মুগ্ধ হলো সারা আরবের সর্বস্তরের মানুষ। কিন্তু আব্দুল্লাহর জীবনের শেষ রক্ষা হল না, কয়েকদিন পর মদীনায় নিজ নানা বাড়ি বেড়াতে যেয়ে রোগাক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সে সত্যনিষ্ট ধার্মিক কাবার সেবায়েত আব্দুল মোত্তালেবের পরম স্নেহের পৌত্র আর সত্য রক্ষার তাগিদে বলি কৃত আব্দুল্লাহর একমাত্র সন্তান। এ যুবক মুহাম্মাদ (সাঃ) যার ধ্বনিতে প্রবাহিত। মোত্তালেব আর আব্দুলাহর পবিত্র রক্ত তাকে যোগ্যতায় অতিক্রম করার মত সারা আরবে আছে কি?
খাদিজার চিন্তায় সর্বগুণে আর যোগ্যতায় অদ্বিতীয় এ যুবক । অতএব দ্বিধাদ্বন্দ্ব ত্যাগ করে এ যুবক মোহাম্মাদকেই একদিন মহা আনন্দে স্বমীতে বরণ করে নিজ সব অর্থ সম্পদ তার পায়ে লুটিয়ে দিয়ে নিজেকে ধন্য করলেন খোওয়াইলিদের কন্যা খাদিজা। নবুওয়াতের পরবর্তী দূর্যোগ পূর্ণ সময় গুলোতে হযরত খাদিজা ছিলেন রাসূল (সাঃ) এর আশ্রয়ের পার্থিব উৎস। পঁচিশ বছর সংসার জীবন স্বামীর প্রতি নিজ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তিনি নিজ স্থান করে নিয়ে ছিলেন রাসূলের (সাঃ) অন্তরের গহীনে। নিজ ভালোবাসার রূপ ব্যক্ত করতে যেয়ে রাসূল (সাঃ) বলেন
এমনি এক মুহূর্তে আমার সব নির্দেশ আর আবদার মেনে নিয়ে ছিলেন হযরত খাদিজা (রাঃ)। যখন অন্যরা আমার প্রতিটি বক্তব্যের জন্য আমার প্রতি চালাতো অবর্ণনীয় নির্যাতন। আর এমনি সময়ে নিজ অর্থ, শ্রম, সাধনা, বুদ্ধি-বিবেক দিয়ে তিনি সহোযোগিতা করেছিলেন আমাকে । যখন অন্যদের থেকে সামান্যতম সাহায্য ও আমার যোগাতে সমর্থ হয়নি।
মোট কথা আমরণ হুজুরে পাক (সাঃ)-এর অন্তর হতে ক্ষণিকের তরে খাদিজার (রাঃ) স্মৃতি বিস্মৃতি হয়নি। মাঝে মাঝে বলতেন তিনি বিশ্বের সব নারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার মাত্র দুই জন তাদের মধ্যে একজন হযরত ঈসার (আঃ) জননী মরিয়ম। আর অপর জন হলো আমার প্রিয়তমা স্ত্রী হযরত খাজিদা (রাঃ)।
পত্রিকা ৩৬০ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url