potrika360PostAd

পৃথিবীতে হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর পদার্পণ চারজন স্বর্গীয় রমণী

 

হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর জন্মকাল

ঐতিহাসিকদের বর্ণনা মতে হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর জন্মকাল নিয়ে অনেক মতবাদ রয়েছে। তবু অধিকাংশ ঐতিহাসিকগণের বর্ণনানুযায়ী বিশ্বনবীর নবুওয়াত লাভের বর্ষে যে কোন এক শুক্রবার প্রভাতে জন্মগ্রহণ করেন বিশ্ব মুসলিম বরেণ্য নবী নন্দিতা হযরত ফাতেমা (রাঃ)। এ সময় পিতা রাসূল (সাঃ)-এর বয়স ছিল ৪০ বছরের কিছু উর্ধে। আর মাতা হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর বয়স ছিল পঞ্চান্ন বছর।



সূচিপত্র


অলৌকিক ঘটনা

হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর অন্য পুত্র কন্যাদের মধ্যে এই কন্যাটির গর্ভাবস্থা ও জন্মকাল ছিল খুবই অলৌকিক ধরনের। হযরত ফাতেমা গর্ভাবস্থায় থাকা কালীন এক প্রকার স্বর্গীয় মেওয়ার সুঘ্রাণ অনুভব করতেন হযরত খাদিজা (রাঃ) জন্মের পর নবজাতক কন্যার দেহের সুগন্ধে অভিভূত করেছিল সকলকে। হযরত ফাতেমার (রাঃ) ভূমিষ্ঠকালে যখন জননীর প্রসব ব্যথা অনুভব হয় তখন। এ সময়ের অভিজাত প্রতিবেশিনী আর আত্মীয়দের নিজ সাহায্যার্থে সংবাদ দিয়ে ছিলেন হযরত খাদিজা (রাঃ)।






মুসলমান হওয়ার অপরাধে এ বিপদ সঙ্কুল মুহূর্তে তাকে সাহায্য করতে কেউ আসেননি । অনুন্যোপায় হয়ে তিনি সাহায্য চেয়ে আবেদন জানালেন সার্বভৌম ক্ষমতার অধিপতি মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে। প্রার্থনা শেষ হওয়ার সাথে সাথে দেখলেন তাঁর সমগ্র হুজরাকে এক স্বৰ্গীয় আলোকে উদ্ভাসিত করে আবির্ভূত হলেন চারজন স্বর্গীয় রমণী। তাদেরকে দেখতেই কেমন যেন আবেগ আপ্লুত হয়ে গেলেন হযরত খাদিজা (রাঃ)।


তাঁরা হযরত খাদিজা (রাঃ)-এর মনোভাব বুঝতেই নিজেদের পরিচয় দিয়ে তাকে শান্ত করে প্রথমে একজন বললেন-আপনার কোন ভয় নেই, আমি মানবকুলের আদি মাতা হযরত হাওয়া (আঃ) ।



আর দ্বিতীয়জন বললেন- আমি ফেরাউনের স্ত্রী হযরত আসিয়া।


তৃতীয়জন বললেন-আমি মুসা (আঃ) এর ভগ্নী কুলসুম।


চতুর্থ জন বললেন-আমি হযরত ঈসার (আঃ) মাতা মরিয়ম। আপনার ফরিয়াদ শুনতেই আপনার সাহাযার্থে জান্নাত হতে আল্লাহপাক আমাদেরকে পাঠিয়েছেন। আপনার গর্ভে যে শিশুটি রয়েছে তিনি হবেন বিশ্ব মানব বরেণ্যা আর জান্নাতের নারীকুলের নেত্রী।


আগত মহিলাদের কথা শুনতেই আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে শান্ত হলেন হযরত খাদিজা (রাঃ)। কিছুক্ষণের মধ্যে সারা ঘরকে আলোক উজ্জ্বল করে মাতৃগর্ভ হতে পৃথিবীতে শুভাগমন করলেন স্বর্গলোকের চন্দ্র শিশু হযরত ফাতেমা (রাঃ)। এ শিশুর রূপ যেন আর ধরে না। চেহারার আকৃতি যেন হুবহু রাসূল (সাঃ)-এর মতই।

স্বর্গীয় সুগন্ধ অনুভব

হযরত ফাতেমা ভূমিষ্ঠ হওয়ার সাথে সাথে রাসূলে খোদা (সাঃ) কোথা হতে ছুটে এসে শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে তার মুখে চুমু খেতেই শিশুর মুখ হতে স্বর্গীয় সুগন্ধ অনুভব করলেন। চুমুর পর চুমু দিয়ে এ শিশুর দ্বীন দুনিয়ার মঙ্গলের জন্য দোয়া করলেন তিনি ।


ফাতেমার নামের উৎপত্তি

রাসূল (সাঃ) নিজে এ কন্যাটির নাম রাখলেন ফাতেমা। ফাতেমার উৎপত্তি আরবি শব্দ ফতম হতে। ফতম শব্দের বাংলা অর্থ রক্ষা করা । তাই রাসূল (সাঃ) ফাতেমা নামকরণ করে নিজ বংশের রক্ষাকারিনী রূপে চিহ্নিত করেছিলেন এ শিশুকে। তাঁর দেহের অপরূপ সৌন্দয্যের কারণে পরবর্তীতে তার নামের সাথে সংযুক্ত করা হলো যোহরা বা কুসুম কলি শব্দটি। আল্লাহর উপর পূর্ণ নির্ভরশীলতার জন্য আখ্যায়িতা হলেন তিনি রাজিয়া আর মরজিয়া নামে। নিজ ষড়রীপুকে আয়ত্বে আনার কারণে তিনি উপাধি পেলেন যাকিয়া বা সংযমী হিসেবে। ভোগ লালশার আকাঙ্খাকে বর্জন করে হলেন বতুল বা বর্জন কারিনী আর নিজ যোগ্যতায় নারীজাতির শীর্ষে উঠে সাইয়েদ বা নেত্রী এ উপাধিতে ভূষিত হলেন হযরত ফাতেমা (রাঃ)।


কাবা গৃহের পুনঃনির্মাণ কাজ চলছিল বিধায় ফাতেমা (রাঃ)-এর জন্ম জীবন ও কর্ম

মক্কাবাসী নিকট ফাতেমার ছিলেন অতি পবিত্র 

কালটা আরব বাসীর নিকট অতি পবিত্র ছিল। আর এ শুভলগ্নে জন্য বলেই নিজ পিতা মাতার কাছে তিনি ছিলেন প্রাণাধিক প্রিয়। তিন বৎসরের অনাবৃষ্টির পর এ বৎসরটিতে প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ হলো মক্কাতে। তাই সমগ্ৰ মক্কাবাসীর নিকট মহানবী (সাঃ)-এর এ মেয়েটি ছিল শুভ দিনের দূততুল্য। পিতা মাতার পরম স্নেহে কেটে যেতে লাগল ফাতেমার দৈনন্দিনের জীবন প্রবাহ। দিনের পর দিন বড় হতে লাগলেন, নবী নন্দিনা হযরত ফাতেমা (রাঃ)।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পত্রিকা ৩৬০ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
potrika360PostAd
potrika360PostAd
potrika360PostAd
potrika360PostAd